South24pgs | আতশবাজির বাজারে ক্রেতার দেখা মিলছে না মাথায় হাত বাজি ব্যবসায়ীদের | U Bangla TV
South24pgs | আতশবাজির বাজারে ক্রেতার দেখা মিলছে না মাথায় হাত বাজি ব্যবসায়ীদের | U Bangla TV
সম্প্রতি রাজ্যে একাধিক অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় কার্যত নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বেশিরভাগ জায়গায় বাজি তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে ।সামনেই কালী পুজো। আর কালীপুজোর রাত মানেই আলোয় আলোকিত চারিদিক। একদিকে যেমন বিভিন্ন বৈদ্যুতিক আলো বা প্রদীপের শিখায় ঝলমল সব জায়গা, তেমনই জ্বলতে দেখা যায় বিভিন্ন বাজি। কারণ কালী পুজোয় রয়েছে বাজি পোড়ানোর রীতি। যদিও বায়ু ও শব্দদূষণের কথা ভেবে বাজি পোড়ানোর ওপরে বিভিন্ন সময় প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বেঁধে দেওয়া হয় সময়মসীমাও। যদিও তারপরেও অনেক জায়গায় প্রশাসনের বিধিনিষেধ অমান্য করে বাজি পোড়ানোরও অভিযোগও ওঠে।এদিকে সম্প্রতি আবার বাজির ডেসিবেল বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে। ৯০ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দবাজিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আবার তার প্রেক্ষিতে আদালতে মামলাও হয়েছে। এক্ষেত্রে কালী পুজোর রাতে শব্দদাবনের তাণ্ডব আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, রাজ্য সরকার শুধুমাত্রে সবুজ বাজি পোড়ানোরই অনুমতি দিচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম বাজির আঁতুড় ঘর হিসাবে পরিচিত বারুইপুরের চাম্পাহাটি হাড়াল। বাজি তৈরির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষজন। এই এলাকার গ্রামবাসীদের অন্যতম পেশাই হলো বাজি তৈরি করা। একের পর এক বিস্ফোরণ প্রাণহানি ও প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার পর কার্যত অন্ধকার নেমে এসেছে বারুইপুরের চাম্পাহাটিতে। বিগত কয়েক বছর কালীপুজোর আগে এই এলাকায় তিল ধারনের জায়গা থাকতো না। কিন্তু এবছর সেই চিত্র অনেকটাই বদলে গিয়েছে দোকান আছে কিন্তু ক্রেতাত দেখা মিলছে না। দীপাবলীর আগে কার্যত মাথায় হাত বাজি ব্যবসায়ীদের। এই বিষয়ে বারুইপুরের চাম্পাহাটীর হাড়াল আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র শঙ্কর মন্ডল তিনি বলেন, আগের মত ব্যবসা আর নেই কার্যত চাম্পাহাটি বাজি ব্যবসা শেষ হয়ে গিয়েছে। বহু আতশবাজি ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যান্য বছরে এই সময় এই এলাকায় তিল ধারণের জায়গা থাকতো না। কিন্তু এখন ক্রেতাত দেখা নেই। প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা ও পুলিশি ধরপাকরের ফলে এই এলাকায় বাজে কিনতে আসছে না বহু ক্রেতারা। এই বাজি বাজারে হাতেগোনা ৩০০টি ব্যবসায়ী তারা পরিবেশবান্ধব বাজে নিয়ে পসর সাজিয়ে বসেছে। কিন্তু ক্রেতার দেখা মিলছে না এই এলাকায় বহু মানুষ এই ব্যবসার ওপর জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। বহু বাজে ব্যবসায়ীদের সংসার চালানো বেজায় দায় হয়ে উঠেছে। এই বাজি ব্যবসার ভবিষ্যৎ আগামী দিনে কি হবে কেউ বলতে পারছে না। চাম্পাহাটির হাড়াল বাজি বাজারে ব্যবসায়ী মিন্টু মন্ডল জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ক্রেতার দেখা একদমই মিলছে না। আমরা পসর সাজিয়ে বসেছি বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব বাজি নিয়ে। কিন্তু ক্রেতার দেখা মিলছে না। প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা ও পুলিশি ধরপাকরের ফলে ক্রেতা এই আতশবাজির বাজারে আসতে ভয় করছে। কি হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।
What's Your Reaction?