Bardhaman :বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে : U Bangla TV

Bardhaman :বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে : U Bangla TV

Feb 15, 2024 - 15:04
 0  4

শাস্ত্র মতে বিদ্যার দেবী সরস্বতী। কিন্তু কালের নিয়মে অজান্তেই কখন যেন বিদ্যার দেবী সরস্বতী বাঙালির কাছে প্রেমের দেবী হয়ে উঠেছেন । তাই হয়তো সরস্বতী পুজো বাঙালির ’ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। আর এবছর একিদিনেই ইংরেজির ভ্যালেন্টাইন ডে এবং বাঙালির ভ্যালেন্টাইন ডে হওয়ায় কালের নিয়মে সরস্বতী পুজো সত্যিই যেন হয়ে উঠেছে প্রেমের দিন । যার প্রতিচ্ছবি পূর্বের বছর গুলির মতো এই বছরও সরস্বতী পুজোর পরদিন দেখা গেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে। বসন্তের এই দিনটা এখানকার আবাসিক ছাত্র ছাত্রীদের কাছে যেন ছিল এক অন্য প্রেমের দিন।তত্ত্বের ডালি আদান প্রদানের মধ্য দিয়েই তার প্রকাশ প্রস্ফুটিত হল । বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ চত্বরে রয়েছে একগুচ্ছ ছাত্রাবাস এবং ছাত্রীনিবাস। প্রতিবছর সরস্বতী পুজোয় আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।তার মধ্যে নজরকাড়া থাকে ঐতিহ্য মেনে কয়েক দশক ধরে হয়ে চলা ছাত্র ও ছাত্রীদের মধ্যে তত্ত্ব আদান প্রদান। তার মধ্যদিয়েই এক ফাঁকে সেরে ফেলা হয়ে যায় একে অপরের হাত ধরে মন দেওয়া নেওয়ার পর্ব। চকোলেট, মিষ্টি, ফুল ইত্যাদি উপহার দেওয়ার মোড়কে আসলে মনের মানুষকে মনের কথা জানানো,ভাললাগা ও ভালবাসার সম্পর্ক তৈরির বীজ বপন করাই হল এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য। গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে রয়েছে গার্গী, নিবেদিতা, সরোজিনী এবং মীরাবাঈ প্রভৃতি নামের ছাত্রীবাস (হোস্টেল)।আর রয়েছে চিত্তরঞ্জন, অরবিন্দ, নেতাজি, বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্র নামের ছাত্রাবাস।এমনিতে সারাবছর ছেলেদের হোস্টেলে মেয়েদের ও মেয়েদের হোস্টেলে ছেলেদের ঢোকার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকে।ব্যতিক্রম থাকে শুধুমাত্র সরস্বতীপুজোর কটাদিন। সত্তরের দশক থেকে রীতিমেনে সরস্বতী পুজোর পরের দিনটায় ছাত্র ছাত্রীদের একে অপরের আবাসে যাবার বিধি নিষেধের বাঁধন ছিন্ন থাকে তত্ত্ব আদান প্রদানের জন্য। পরস্পরের আবাসে পৌছে যাবার এই দিনটিকে, উৎসবের মত পালন করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাস এদিন সকাল থেকেই প্রেম মূর্ছনায় ভাসতে শুরু করে। বেলা গড়াতেই সুন্দর সাজে সজ্জিত হয়ে ছাত্রীরা হাতে ফুল , মিষ্টি ও উপহার দিয়ে সাজানো তত্ত্ব নিয়ে ছাত্রাবাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় । তত্ত্ব নিয়েই সটান ছাত্রাবাসে পৌছে যায় ছাত্রীরা। এরপর একই কায়দায় ছাত্ররাও তত্ত্ব হাতে নিয়ে ছাত্রীবাসে ঢোকে। রীতিমত ঢাক, কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা তত্ত্ব আদান প্রদান সারেন। কার্যতই যেন ছাত্র ছাত্রীরা রঙবেরঙের শাড়ি ও পাঞ্জাবি পড়ে ঢাকের বাদ্যি বাজিয়ে এদিন গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে বসন্তের দ্যুতি ছড়ালেন। এই রীতি কবে, কেন চালু হয়েছিল তা স্পষ্ট করে কেউ বলতে পারলেন না। তবে অনেকেই মনে করেন, সত্তরের দশকে এই রীতি রেওয়াজের সূচনা হয়েছিল । এর কারণ হিসাবে মনে করা হয়,বছরের অন্য সময় ছাত্রী আবাসনে ছাত্রদের প্রবেশের খুব একটা সুযোগ থাকে না। সরস্বতী পুজোর সময় এক আবাসন থেকে অন্য আবাসনে যাওয়ার সেই রুদ্ধদ্বার খোলা হয়। পুজোর পরের দিন এই তত্ত্ব আদান প্রদানের মাধ্যমে মনের মানুষের একটু কাছাকাছি আসার সুযোগ হয়। তবে ছাত্রছাত্রীদের মতে, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বন্ধুত্বের সুসম্পর্ক আরও নিবিড় হয়। তবে যে যাই বলুক, বসন্তের এই দিনতো প্রেমেরই দিন। তাই প্রেম নিবেদনের সুবর্ণ সুযোগ এদিন পড়ুয়াদের কেউই হাতছাড়া করতে চাইলেন না। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা খুশির আমেজে বলেন, এবছর একই দিনে ভ্যালেন্টাইন ডে এবং সরস্বতী পুজো হওয়ায় তত্ত্ব আদান প্রদান খুব ভালো করে করা গেছে। #bardhaman #bardhamannews #newstoday #banglanews  @ubanglatvofficial 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow