Bankura: ইন্দাসের বনকি গ্রামে এক হাঁটু জলে ডুবে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র | U Bangla TV
Bankura: ইন্দাসের বনকি গ্রামে এক হাঁটু জলে ডুবে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র | U Bangla TV
ইন্দাসের বনকি গ্রামে এক হাঁটু জলে ডুবে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, এক সপ্তাহ ধরে স্কুলে যেতে পারেনি কোনো পড়ুয়া, বন্ধ মিড ডে মিলও ।
স্কুল ভবন আছে, নিয়মিত স্কুলে আসছেন শিক্ষিকা ও মিড ডে মিলের কর্মীরা। কিন্তু পড়ুয়ারা না আসায় গত সাত দিন ধরে বন্ধ পঠন পাঠন ও মিড ডে মিল। আর তা হবে নাই বা কেন? স্কুল চত্বর যে ডুবে রয়েছে এক হাঁটু জলের তলায়। বারবার পঞ্চায়েতকে জানিয়েও জল নিকাশির কোনো ব্যবস্থাই করেনি বলে অভিযোগ।
বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের আকুই এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত বনকি আদিবাসী পাড়ার শিশুদের লেখাপড়ার জন্য কয়েক বছর আগে চালু হয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। ওই কেন্দ্রের নিজস্ব স্কুল ভবন গড়ে ওঠে। চালু হয় মিড ডে মিলও। বর্তমানে এই স্কুলে গ্রামের ২১ জন শিশু পড়াশোনা করে। পড়ানোর জন্য স্কুলে রয়েছেন একজন শিক্ষিকাও। সেই শিক্ষিকা নিয়মিত স্কুলে আসেন কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে কোনো শিশুই স্কুলমুখো হয়নি। পড়ুয়ারা স্কুলে আসবেই বা কেমন করে? কারণ স্কুল চত্বরে জমে রয়েছে হাঁটু সমান জল। সেই জল ডিঙিয়ে পড়ুয়াদের স্কুলে যাতায়াত করাটাই যে অসম্ভব। কিন্তু হঠাৎ করে কেন স্কুল চত্বরে জমল হাঁটু সমান জল? স্থানীয়রা জানিয়েছেন আগে স্কুল চত্বরের বৃষ্টির জল পার্শ্ববর্তী নিচু জমি দিয়ে নিকাশ হত। সম্প্রতি সেই নিচু জমি ভরাট করে উঁচু করে দেন জমির মালিক। আর তাতেই স্কুলের জল নিকাশি ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে যায়। সপ্তাহ খানেক আগে থেকে বৃষ্টি শুরু হলে জল নিকাশির অভাবে তা জমতে থাকে স্কুল চত্বরে। ধীরে ধীরে সেই জল হাঁটু সমান উচ্চতায় উঠে যায়। অগত্যা বন্ধ হয়ে যায় স্কুলের পঠন পাঠন। জল থইথই স্কুলে পড়ুয়ারা না আসায় বন্ধ হয়ে যায় মিড ডে মিলের রান্নাও। সমস্যার কথা জানিয়ে পদক্ষেপের দাবীতে স্থানীয় আকুই এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন শিক্ষিকা ও স্থানীয় অভিভাবকরা। কিন্তু অভিযোগ পঞ্চায়েত এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। অগত্যা প্রত্যন্ত ওই গ্রামে পঠন পাঠন শিকেয় তুলে আপাতত বন্ধ রয়েছে একমাত্র শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি। @ubanglatvofficial
What's Your Reaction?