Purulia : হস্তশিল্পে মিলছে না কোন কদর
প্রাচীন ভারতে লাক্ষা ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে, মহাভারতের জতুগৃহ যা দাহ্য মোম, লাক্ষা ও গলা দিয়ে তৈরি হয়েছিল। তবে বর্তমানে এর ব্যবহার বিভিন্ন রকম ভাবে হচ্ছে। যেমন কাঠ পালিশ, সিলমোহর, বস্ত্রশিল্পে, ঠিক সেরকম প্রসাধনী সামগ্রী,পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর লাক্ষা শিল্পে বিখ্যাত এবং এই লাক্ষা গলার মধ্য দিয়ে হস্ত কুটির শিল্প তৈরি হয়েছে এখানে,প্রসাধনী সামগ্রীর মধ্যে যেমন, চুড়ি বলরামপুরে লাক্ষার স্থানীয় বাজার গদি থেকে বাটালি রূপে গালা কেনা হয় এবং দোকান থেকে লোহার সরু রিং ও জরি বিভিন্ন রঙের পাথর কিনে নিয়ে এসে বাড়িতে সেই বাটালি লাক্ষা কে একটি কাষ্ট দন্ডের উপর তাল লাগানো হয় সেটি এক রঙের বা বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। কেমন চুড়ি হবে তার ওপর নির্ভর করে এরপর সেটাকে কয়লার আগুনে গলিয়ে নরম করা হয় ও একটা লম্বা কাঠের টুকরা দিয়ে লম্বা লম্বা পেন্সিলের আঁকারে টুকরো কেটে নেওয়া হয় এর পর গোল করে চুড়ি বানানো হয়,তার পর এই চুড়ি যাতে গোল ই থাকে ও ভেঙ্গে না যায় তার জন্য লোহার রিং গরম করে সেই গালা চুড়ির মধ্যে লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং হালকা গরম করে তার উপর বিভিন্ন রকম নকশার কারুকার্য করা হয় চুমকি রঙিন পাথর এসব দিয়ে।এই পেশার সাথে যুক্ত মোবারক মনিহার বলরামপুরের নিজের বাড়িতে তিন পিড়ি ধরে করে আসা লাক্ষা গালা দিয়ে চুড়ির কাজ করে আসছেন। তিনি জানিয়েছেন আমার দাদু করতেন তারপর আমার বাবা এই কাজ করেছেন এরপর আমি করছি তবে পরের প্রজন্ম এই পেশা ধরে রাখতে পারবে কিনা জানা নেই, এই রাজ্যের কলকাতা এবং বাইরের রাজ্য ঝাড়খন্ড, রাজস্থান ছত্রিশগড়,উড়িষ্যা তাদের হাতে তৈরি চুড়ি যাই,এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় বিভিন্ন সরকারি মেলা গুলিতে তাদের চুড়ির প্রদর্শন হয় এবং ইস্টল করে তা বিক্রি হয়।তারা চাই আমাদের দেশের প্রতিটা জায়গার সাথে সাথে সরকারি সাহায্যে ও সহযোগিতায় বিদেশে এই সামগ্রী বিস্তার লাভ করতে। #youtube #purulia #purulianews #newsupdate @ubanglatvofficial
What's Your Reaction?