রহস্যে ঘেরা মিশর |
রহস্যে ঘেরা মিশর |
রাচীন মিশর নিয়ে আমাদের জানার আগ্রহের কোনো কমতি নেই। মমি, পিরামিড, ফারাও, ইত্যাদি নানা বিষয়ের জন্য দেশটির প্রাচীন ইতিহাস বরাবরই আমাদের চুম্বকের মতো টানে। দেশটির পরতে পরতে রয়েছে ইতিহাসের গাঁথা। তবে মিশরের আসল নাম রিপাবলিক অফ ইজিপ্ট । ইজিপ্টকে আর্বিক ভাষায় কে মিশর বলে অভিহিত করা হয়। তবে মিশর নিয়ে কথা বললেই প্রথমেই যাতে আসতে হবে সেটা হলো পিরামিড,মিশরের পিরামিড পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে একটি। প্রাচীন মিশর শাসন করতেন ফারাওরা তাদেরকে কবর বা সমাধী দেয়ার জন্যই পিরামিড নির্মান করা হতো। ফারাওদের সমাধিস্থ করা হত পিরামিডের কেন্দ্রে।মিশরীয়রা মনে করত ফারাওরা মৃত্যুর পর মৃতদের রাজা হিসেবে নতুন দ্বায়িত্ব পালন করেন। পিরামিড হল ফারাওদের পুর্নজন্মের প্রবেশ দ্বার। ফারাওদের মৃত্যুর পর যতদিন তাদের দেহ সংরক্ষণ করা যাবে ততদিন তারা স্বর্গে বাস করবে। সেজন্যই মৃত ফারাওদের দেহ মমি করে পিরামিডের ভেতরে সংরক্ষণ করা হত। মিশরে মোট ছোট-বড় মিলে 75 টি পিরামিড রয়েছে । তবে সব থেকে বড় ও আকর্ষণীয় পিরামিড সেটি হলো খুফুর পিরামিড।এটি তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ বছর আগে। এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর স্থাপিত। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ২০ বছর এবং শ্রমিক খেটেছিল আনুমানিক ১ লাখ। পিরামিডটি তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খন্ড দিয়ে। পাথর খন্ডের এক একটির ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন, আর দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মত। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল দূর দুরান্তের পাহাড় থেকে। পাথরের সাথে পাথর জোড়া দিয়ে পিরামিড তৈরি করা হত। তবে পিরামিডের কথা যখন বলা হচ্ছে তখন মমির কথা না বললেই নয়। আজ থেকে এত বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে মৃতদেহ সংরক্ষণ কিন্তু সত্যিই রহস্যময় এক বিষয় ছিল বা এখনো রয়েছে। তবে মমি বানানোর কাজটি একইসাথে বেশ সময়সাপেক্ষ ও পরিশ্রমের ছিলো। তবে সমাজের উচ্চবিত্তরাই মূলত মৃতদেহ সৎকারের এ পথ বেছে নিতো। এভাবেই মিশর আজ ও রহস্য রোমাঞ্চে ঘেরা এক আশ্চর্য শহর হয়েই রয়ে গেছে সকলের কাছে। এই শহরের কোনায় কোনায় রয়েছে ইতিহাসের কথা।
#egypt #egyptian #facts #fact #unknownfacts #kufu #unknownmysteries #republicofegypt
What's Your Reaction?