বিপজ্জনক বাড়ির অধিগ্রহণ চান মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী জানান, শহরের একাধিক বাজার দেখলে তাঁর ভয় লাগে। সেখানে লোকজন বাজার করতে গেলে তাঁদের আশঙ্কায় থাকতে হয়, কোনও সময়ে না বাড়িটি ভেঙে পড়ে।
1.
শহরের বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। কলকাতার বিপজ্জনক বাড়ি এবং বাজার ভবনগুলির বেহাল দশা নিয়ে পুরসভার ভূমিকায় তিনি যে খুশি নন, এর আগেও তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে হকার সমস্যা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যে তাঁর মুখে আবারও শোনা গেল সেই কথা। যদুবাবুর বাজারের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সে দিন যদুবাবুর বাজারের ওখান দিয়ে যাচ্ছিলাম, দেখলাম। ববিকে (মেয়র ফিরহাদ হাকিম) জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বাড়িটা নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে না কেন? ববি বলল, মালিক করছে না।’’ মমতার মতে, দরকার হলে বাড়ি অধিগ্রহণ করতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি এক জনকে দেখব, না কি হাজার জনকে দেখব? হাজারটা লোক বাজারে বসে আছে। কিন্তু এক জন লোকের জায়গা বলে সে গায়ের জোর দেখিয়ে যাবে, তা চলবে না।’’
এ দিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, শহরের একাধিক বাজার দেখলে তাঁর ভয় লাগে। সেখানে লোকজন বাজার করতে গেলে তাঁদের আশঙ্কায় থাকতে হয়, কোনও সময়ে না বাড়িটি ভেঙে পড়ে। মমতা আক্ষেপ করেন, এ ভাবে কলকাতার নিজস্ব পরিচিতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শহরের বিপজ্জনক বাড়ি প্রসঙ্গে তিনি জানান, এমন বাড়িগুলিতে সাধারণত বহু ভাড়াটে থাকেন। তাঁদেরই মালিককে বলতে হবে, বাড়ি সংস্কারের কাজে হাত দেওয়ার জন্য।
শহরের কতগুলি বাজারের অবস্থা বিপজ্জনক, সেই তালিকা তৈরিরও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এক থেকে দেড় কোটি টাকায় বাজারগুলি ভাল ভাবে সংস্কার করা যেতে পারে। দোতলা বাজার চারতলা হতে পারে। নীচে থাকবে ‘হকিং জ়োন’। পৃথক ভবনে রাখা যেতে পারে হকারদের জিনিস। তবে, হকার ভবন, হকারদের স্টল এবং বাজার মিলিয়ে ডিপিআর হবে একটাই।
What's Your Reaction?