Tripura : নারীরা আজ যে কতটুকু অসহায় তারই এক জলজ্যান্ত উদাহরণ মিললো ত্রিপুরায়

নারীরা আজ যে কতটুকু অসহায় তারই এক জলজ্যান্ত উদাহরণ মিললো সিপাহীজলা ত্রিপুরা জেলা বিশালগড় গোপিনগরে! জানা যায়, গত ২০১৬ সালে সিপাহীজলা ত্রিপুরা জেলা কলমচৌড়া থানার অন্তর্গত রশিদ মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তারের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় বিশালগড় গোপিনগর এলাকার মোস্তফা আলীর সাথে। মোস্তফা আলীর তিন ভাই ফায়ার সার্ভিস, ত্রিপুরা পুলিশ এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে কর্মরত। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় গৃহবধূ তানজিনা আক্তারের উপর নানা আক্রমণ। কথায় কথায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের বক্তব্য, স্বামীর বাড়িতে থাকতে হলে চাকরের মত হয়ে থাকতে হবে, তা না হলে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। গৃহবধূর গর্ভে দ্বিতীয় সন্তান আসলে শ্বশুর বাড়িতে কোন ধরনের সেবা না পেয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায় গৃহবধূ তানজিনা আক্তার। এবং সেখানেই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। এরই মধ্যে, গৃহবধূ তানজিনা আক্তার জানতে পারে তার স্বামী মোস্তফা আলী অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছে। সেই খবর পেয়ে গৃহবধূ তানজিনা আক্তার শ্বশুর বাড়িতে আসলে ত্রিপুরা পুলিশে কর্মরত দেবর ময়নাল হোসেন সহ তার স্বামী মোস্তফা আলী সহ শ্বশুর বাড়ির অন্যান্যরা মিলে অমানবিকভাবে মারধর শুরু করে অসহায় গৃহবধূ তানজিনার উপর। কোলের ছোট্ট সন্তানটি মায়ের এই করুন দৃশ্য দেখতে থাকে সেই ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। খবর পেয়ে বিশালগড় অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে গিয়ে আহত গৃহবধূ তানজিনা আক্তার'কে উদ্ধার করে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশালগড় মহিলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর ঝুমা দাস সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। পুলিশ আক্রান্ত গৃহবধূ তানজিনা আক্তারের অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী মোস্তফা আলী এবং ত্রিপুরা পুলিশের কর্মরত দেবর ময়নাল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। জানা গেছে, আক্রান্ত গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন বিশালগড় মহিলা থানায় অভিযুক্ত স্বামী, দেবর সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকজনদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনে লিখিত আকারে মামলা দায়ের করেছে। এখন দেখার বিষয়, বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সবাই। #newstoday #banglanews #breakingnews #tripura #tripuranews  @ubanglatvofficial ​