Nadia : চেহারায় পড়বে না বয়েসের ছাপ : U Bangla TV
Nadia : চেহারায় পড়বে না বয়েসের ছাপ : U Bangla TV
কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান, বেটে মুখে মাখেন, নদিয়ার শেখর সিকদারের কীর্তিতে হতবাক সকলে।
বয়স বাড়লেও কমবে না চোখের জ্যোতি। চেহারায় পড়বে না বয়েসের ছাপ। শুধুমাত্র মুখে মাখতে হবে ৫০০ গ্রাম লঙ্কা! খেতে হবে ন্যূনতম ১ কেজি। এতেই নাকি এড়ানো যাবে হৃদরোগ ও স্নায়ুর সমস্যা। ভাবতে অবাক লাগছে ? না অবাক হওয়ার কিছুনেই এটাই এখন বাস্তবে করে দেখিয়েছেন নদীয়ার শেখর সিকদার।ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই যুবকের কীর্তি।
নদিয়ার রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের আইসমালি এলাকার বাসিন্দা শেখর সিকদার। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন নিয়ম করে কেজি কেজি লঙ্কা কেনেন তিনি। প্রথমদিকে বিষয়টাকে কেউ বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। পরবর্তীতে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিক্রেতাদের মনে। তার পর জানা যায় আসল ঘটনা।এত লঙ্কা দিয়ে কী করেন শেখর? এব্যাপারে শেখর বাবু জানান,তিনি বাটা লঙ্কা মুখে মাখেন। খেলে খান প্রায় কেজিখানেক। তবে দাম যখন বাড়ে সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোয় না। জিভে ঝাল কিংবা মুখে জ্বলন অনুভব করেন না? শেখর বাবুর পালটা প্রশ্ন, "জ্বলবে কেন, অ্যাসিড নাকি? আর স্বাদ বেশ ভালোই।" তাঁর নিদান, "নিয়মিত কাঁচা লঙ্কা বাটা মুখে মাখলে চেহারায় কোনওদিন বয়সের ছাপ পড়বে না। আর নিয়মিত কাঁচালঙ্কা খেলে অটুট থাকবে চোখের জ্যোতিও ।"
শেখর বাবুর বৃদ্ধ মা জানাচ্ছেন, "আগে তো এত সব মেশিনপত্র ছিল না। অনেক বড় সংসার বাংলাদেশে। ঢেঁকিতে শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো করে বস্তায়বন্দি করে ঘরে রেখে দিয়েছিলাম। শেখর তখন বছর দুয়েকের। হামাগুড়ি দিয়ে সেই বস্তার কাছে গিয়ে সব শুকনো লঙ্কা বের করে গায়ে মেখে বসেছিল। বাড়িতে তো কান্নাকাটি শুরু। সবাই মিলে দুধ, দই, ঘোল, ঢেলে পরিষ্কার করা হলো। আমরা কেঁদে যাচ্ছি আর ছেলে মুচকি মুচকি হাসছে! তার পর থেকেই একটা দুটো করে লঙ্কা খাই। বড় হওয়ার পর থেকে চুরি করে খেত। এখন তো নিজে আনে নিজেই খায়।" তবে শেখর বাবুর এই কীর্তিতে হতবাক সকলেই।
What's Your Reaction?