Nadia : অক্লান্ত পরিশ্রম করে শাড়ির ওপর ফুটিয়ে তুলেছেন রামায়ণের কাহিনী : U Bangla TV

Nadia : অক্লান্ত পরিশ্রম করে শাড়ির ওপর ফুটিয়ে তুলেছেন রামায়ণের কাহিনী : U Bangla TV

Jan 20, 2024 - 19:11
 0  2

এক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম করে শাড়ির ওপর ফুটিয়ে তুলেছেন রামায়ণের কাহিনী। এবার সেই শাড়ি অযোধ্যার রাম মন্দিরে সীতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে রওনা দিলেন নদীয়ার রানাঘাট থানার হবিবপুর গ্রামের এক যুবক। শাড়িটি বিক্রির জন্য প্রচুর টাকা অফার পেয়েছেন কিন্তু তিনি শাড়িটিকে বিক্রি করেন নি। হবিবপুরের রাঘবপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের বাসিন্দা পিকুল রায়। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তার নিজস্ব একটি শাড়ির দোকান রয়েছে। দীর্ঘ এক বছর আগে থেকেই শুরু করেছিলেন ওই শাড়িটি তৈরি করা। কোনরকম প্রিন্ট বা ছাপা নয় শাড়ির উপর নিজের কর্মদক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন রামায়ণের কাহিনী। যেখানে রয়েছে রাম এবং সীতা পাশাপাশি তাদের বনবাসের গল্প রয়েছে ওই শাড়ির মধ্যে। উল্লেখ্য দুই দিন বাদেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই গোটা দেশজুড়ে বিজেপি এবং বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের তরফ থেকে বিভিন্ন উৎসব পালন হচ্ছে। কোথাও নাম সংকীর্তন আবার কোথাও বিভিন্ন রাম সীতা মন্দির পরিষ্কার করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই দিনটি যাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাম নাম করে উদযাপন করা যায় তা নিয়েও সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে। দেশের বহু নামিদামি মানুষ আছে যারা অযোধ্যার রাম মন্দির কে উৎসর্গ করে টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করেছেন। এবার নিজের হাতে তৈরি সেই রামায়ণ রচয়িতা শাড়ি রাম মন্দিরের উৎসর্গ করতে চান পিকুল বিশ্বাস।এ বিষয়ে বিকুল বিশ্বাস বলেন, প্রায় এক বছর আগেই তার মনের ভেতর চিন্তাভাবনা আসে যদি রামায়ণের গল্পটি শাড়ির উপর বসানো যায়। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি এক বছর আগে থেকে এই শাড়ি তৈরি করতে শুরু করেন। শাড়িটি তৈরি হওয়ার পর অনেকে শাড়ির থেকে অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি এই শাড়িটিকে অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রদান করতে চান। অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন পিকুলের দাদা অনন্ত রায়ও। তিনি বলেন, তার ভাই বিষয়টি তাকে জানায় এবং তিনি অত্যন্ত খুশিও হন। সে নিজের হাতে রামায়ণের ইতিহাস বর্ণনা করেছে যে শাড়ির ওপর সেই শাড়ি রাম মন্দিরে দান করবে। সেই কারণে তিনিও ভাইয়ের সঙ্গে রওনা দিয়েছেন।অন্যদিকে পিকুল রায়ের এই মহৎ উদ্যোগে খুশি প্রতিবেশীরাও। তারা জানিয়েছে পিকুলের এই উদ্যোগকে তারা সাধুবাদ জানাচ্ছেন। সে যাতে সফলভাবে অযোধ্যার রাম মন্দিরে পৌঁছে শাড়িটিকে দান করতে পারে সেই প্রার্থনাই করছেন।গতকাল রাতে হবিপুর রেল স্টেশন থেকে তারা রওনা দিয়েছে। তবে তাদের কাছে আগাম ট্রেনের টিকিট না থাকার কারণে কিছুটা সমস্যার কথা জানিয়েছেন তারা। তারা অনুরোধ করেছেন যাতে যেভাবেই হোক অযোধ্যার রাম মন্দিরে তারা পৌঁছাতে পারে, সেই সাহায্য তারা যাতে কোনোভাবে পায়। #nadia #nadianews #banglanews #newstoday  @ubanglatvofficial 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow