Medinipur : অনন্য স্থাপত্য ও শিল্পকলা গোপীল্লভপুরের মন্দিরের : U Bangla TV
Medinipur : অনন্য স্থাপত্য ও শিল্পকলা গোপীল্লভপুরের মন্দিরের : U Bangla TV
কেশপুরের জগন্নাথ মন্দির শুধুমাত্র ধর্মীয় স্থান নয়, ঐতিহাসিক স্থাপত্যশৈলীর এক অমূল্য নিদর্শন। রাজা যশোবন্তের অধীনে নির্মিত মন্দিরটি মেদিনীপুরের গোপীনাথপুরে অবস্থিত । নিয়মিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্যেও বিখ্যাত।মন্দিরের ইতিহাস থেকে জানা যায়,ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা রানি শিরোমণির সাথে এই মন্দিরের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। বন্দী দশা থেকে মুক্তি পেয়ে মেদিনীপুর শহরে তিনি বসবাস করেন এবং 'হেবা-নামা' রচনাও করেন।মন্দিরের প্রধান মূর্তি হল, জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রা। এছাড়াও মহাদেব, নারায়ণ এবং ৫২টি শালগ্রামও শিলা রয়েছে। মন্দিরের সেবাইতগণ সরকারি মঠের অধীনে নিয়োজিত ছিলেন।সেই সময়ে জনৈক গ্রামবাসী অমুলা চরণ জানা, মন্দিরের পুজাচারের তৎপর ভূমিকা পালন করেছিলেন।কথিত আছে এক সময় ম্যালেরিয়ার কারণে গোপীনাথপুর, বাদাড় ইত্যাদি গ্রামগুলি জনশূন্য হয়ে পড়েছিল। মেদিনীপুরের ইতিহাস অনুযায়ী, দীর্ঘদিন গ্রামগুলি জনশূন্য থাকার ফলে ,এলাকাটি ঘন বনজঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। পরবর্তীকালে তমলুক এলাকার, রাধামণি এই অঞ্চলের পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্দিরের সেবাইত রামপদ সাহু ও ভাস্কর মণ্ডল জানান "প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের রাসে মন্দির চত্বর কার্যত উৎসবের আকার ধারণ করে। ডেবরা, পিংলা ,সবং ,কেশপুর, খড়গপুর ,মেদিনীপুর সহ পার্শ্ববর্তী জেলা গুলি থেকে লাখো লাখো দর্শণার্থী ও ভক্তজনেরা এসে ভিড় করেন মন্দিরে চত্বরে। তিন দিন ধরে চলে নানান সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও মহাপ্রসাদের আয়োজন হয়। এছাড়া বছরে প্রতিদিন বহু দর্শণার্থীরা মন্দির এসে প্রভুর দর্শন করে পুজো দিয়ে যান।" #medinipur #westbengalnews #newstoday #viralnews #news #banglanews @ubanglatvofficial
What's Your Reaction?