Assam : টাকার লোভে রোগীর সাথে খেলা সেইন্ট লুকস হাসপাতাল : U Bangla TV
Assam : টাকার লোভে রোগীর সাথে খেলা সেইন্ট লুকস হাসপাতাল : U Bangla TV
আমরা সকলে জানি- একটি হাসপাতাল এবং একটি চিকিৎসক মানুষকে জীবন দিতে পারে। তাইতো চিকিৎসককে বলা হয় ভগবানের স্বরূপ। কিন্তু একমাত্র টাকার স্বার্থে একাংশ, ব্যক্তিগত হাসপাতালে, সাধারণ রোগীকে জটিল রূপ দিয়ে আই সি ইউ তে রাখার উপরে ও রোগীকে অপারেশন করার জন্য হাসপাতালের মালিক পক্ষকে চিকিৎসককে বাধ্য করতে দেখা গেল। এই সম্পর্কে এক চিকিৎসক আজ একটি সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্পষ্ট করে প্রকাশ করলেন এই কথা। উল্লেখ্য যে , ডক্টর প্রবীণ শর্মা মহারাষ্ট্রের পুনের বি জে মেডিকেল কলেজ এবং হার্ডিকর হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ। তিনি সংবাদমাধ্যমে সামনে বিভিন্ন কথা প্রকাশ করেন। নিউরোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসাবে সুনাম অর্জন করা ডক্টর প্রবীণ শর্মা, ডিব্রুগড় জেলার চাবুরার সেন্ট লুকস হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ, গ্রাম অঞ্চলের রোগীর স্বার্থে চিকিৎসা প্রদান লক্ষে সপ্তাহের ৪ দিন কাজ করার বাবদ ৫ লক্ষ টাকা দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়োগ করে এই ডাক্তারকে । ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে নিউরোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ হিসাবে কর্মরত ডক্টর শর্মাকে, সেই বছরই নভেম্বর মাস থেকে ৯ লক্ষ টাকা দিবে বলে মৌখিকভাবে অবগত করে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে সুন্দরভাবে রোগীর দেখাশোনা করার কাজে নিয়োজিত ডঃ শর্মাকে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বললেন, ঔষধ দিয়ে রোগীকে ঠিক করার পরিবর্তে অপরেশন করবেন বা আইসিইউতে ভর্তি করাতেই হবে , এইভাবে মানসিক শাস্তি দিতে আরম্ভ করেছিল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ । তাই এই মানসিক অশান্তি সহ্য করতে না পেরে কাল বৃহত্তর ডিব্রুগড় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে, চিকিৎসক শর্মা সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ করলেন এ কথা । ডঃ শর্মাকে এইভাবে মানসিক অশান্তি দেওয়া নিয়মিত হয়ে পড়েছিল কর্তৃপক্ষের। এই অশান্তি সহ্য করতে না পেরে , গত ২৪ জানুয়ারি, ছুটি নিয়ে পুনেতে চলে গিয়েছিলেন ডক্টর শর্মা। এবং ডঃ শর্মা পুনে থেকে আসার পর হাসপাতাল চত্বরে থাকা ডক্টর শর্মার বাসগৃহের তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে থাকা মূল্যবান সামগ্রী, সঙ্গে নগদ আশি হাজার টাকা,সোনার চেইন ,আংটি ইত্যাদি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। তার উপরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ রয়েছে এই হাসপাতালের উপর - সেটি হল, তিনসুকিয়া , ডিব্রুগড়, ইত্যাদি এম্বুলেন্স চালকরা, প্রতি জন রোগীকে ভর্তি করার সময় নগদ টাকা আদায় করে।। উল্লেখযোগ্য যে যদি সত্যি কারের রোগী চিকিৎসা করার নামে, এই ধরনের লুণ্ঠন অব্যাহত থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে সকল রোগীর পরিবারের লোকেরা দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হবে। ডঃ শর্মা আরো জানিয়েছেন যে চিকিৎসা এবং অপারেশন ইত্যাদির নামে চুক্তি হওয়া টাকার মধ্যে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষর ডাঃ শর্মাকে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া বাকি আছে। #assam #assamesenews #newstoday #banglanews @ubanglatvofficial
What's Your Reaction?