৫৬ রানে শেষ আফগান রূপকথা, রশিদদের ৯ উইকেটে উড়িয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
রশিদেরা মাঠে এলেন, খেললেন, কিন্তু জিততে পারলেন না। আফগানিস্তান শেষ হয়ে যায় ৫৬ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই রান তুলে নেয় ৮.৫ ওভারে। ৯ উইকেটে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রোটিয়ারা।
1.
নিউ জ়িল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আর জেতা হল না রশিদ খানদের। তাঁরা মাঠে এলেন, খেললেন, কিন্তু জিততে পারলেন না। আফগানিস্তান শেষ হয়ে যায় ৫৬ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই রান তুলে নেয় ৮.৫ ওভারে। ৯ উইকেটে জিতে প্রথম বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রোটিয়ারা।
টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রশিদ। অনেকে মনে করছেন, সেটাই বোধ হয় ভুল হল। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা স্পিনারদের বিরুদ্ধে খুব স্বচ্ছন্দ নন। আফগানিস্তান প্রথমে বল করে অল্প রানে প্রোটিয়াদের আটকে দিলে, নিজেদের সামনে একটা রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামতে পারত। কিন্তু রশিদের পরিকল্পনা ছিল অন্য। তিনি দলের বোলিংকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন পরে। রশিদ জানেন তাঁর দলের শক্তি বোলিং। তাই পরে বল করলে ম্যাচ জেতার সুযোগ বেশি থাকবে বলে মনে করেছিলেন তিনি। কিন্তু আফগানিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয় যে এ ভাবে হবে, তা ভাবা যায়নি। কোনও ব্যাটার ক্রিজ়ে থিতু হতে পারলেন না। ত্রিনিদাদের পিচে সুইং ছিল। সেটাই কাজে লাগালেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারেরা। তাঁদের সেই সুইংয়ের দাপট সামলাতে পারলেন না রহমানুল্লা গুরবাজ়েরা।
প্রথম ওভার থেকেই উইকেট তুলতে শুরু করেন মার্কো জানসেনেরা। সবুজ পিচে বলের গতি এবং সুইংয়ের দাপট বুঝতে তখন হিমশিম খাচ্ছেন ইব্রাহিম জাদরানেরা। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে একটি দল যদি ৫ উইকেট হারায় তা হলে ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়। পাওয়ার প্লে-তে আফগানিস্তান ২৮ রানে ৫ উইকেট হারায়। সেখান থেকে দলকে ঘুরে দাঁড় করানোর মতো ব্যাটার আফগান দলে নেই। তাই ৫৬ রানের মধ্যে শেষ হয়ে গেল রশিদদের ইনিংস। তিনটি করে উইকেট নিলেন জানসেন এবং তাবরেজ শামসি। দু’টি করে উইকেট নিলেন কাগিসো রাবাডা এবং এনরিখ নোখিয়ে।
What's Your Reaction?