মাঠে লোক নেই, ঝড় শুধুই ফেসবুকে! বিকাশের নিশানায় সিপিএমের তরুণ ব্রিগেড
‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন বিকাশ
1.
বঙ্গ সিপিএমের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। মাঠে ময়দানে যখন দুর্বল সংগঠন, বুথে লোক নেই তখন সোশাল মিডিয়ায় বিপ্লব করে আর তরুণ প্রজন্মকে সামনে এনেও ব্যর্থ হয়েছে আলিমুদ্দিন। কাটেনি শূন্যের গেরো। চব্বিশের লোকসভা ভোটের ভরাডুবির কারণ খুঁজতে যখন দলের অন্দরে চলছে কাটাছেঁড়া। তখন বোমা ফাটালেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য তথা রাজ্যসভার সাংসদ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর বিস্ফোরক বিকাশ ভট্টাচার্যর প্রশ্নের মুখে সিপিএমের তরুণ ব্রিগেড।
সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিপিএমের আইনজীবী নেতা মনে করছেন, বিজেপি বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেছে নিয়েছে মানুষ। সিপিএমের সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। বুথভিত্তিক সংগঠন নেই। এর পরই দলের কারও নাম না করে বিকাশ বলেন, “ব্যক্তি বিশেষ থাকবে। কিন্তু ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে গেলে মুশকিল। মার্কসবাদী দৃষ্টিকোণ সেটাই বলে। কাউকে ‘ক্যাপ্টেন’ বললাম, কাউকে ‘আগুনপাখি’ বললাম সেটা আমার ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি। এটা সামাজিক অভিব্যক্তি নয়।’’ কারও নাম না করলেও বিকাশ ভট্টাচার্য দলের তরুণ ব্রিগেডকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং ‘ক্যাপ্টেন’ বলতে যে মীনাক্ষী—কেই বুঝিয়েছেন তিনি তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে ‘ক্যাপ্টেন’ করে লোকসভা ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল সিপিএম। কিন্তু মীনাক্ষীর ডাকে দলের কর্মী-সমর্থকরা ব্রিগেড ভরালেও ভোট কেন বাড়ল না। তরুণ প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে দেওয়ার পরও কেন আমজনতার মন পাওয়া গেল না? ভোট পরবর্তী পর্যালোচনায় নেমে এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে সিপিএমের অভ্যন্তরে। এটা নিয়েই সিপিএম সাংসদ বলতে চেয়েছেন যে, ‘ক্যাপ্টেন’, ‘আগুনপাখি’ নাম দিয়ে যে প্রচার চলছে সেটা ব্যক্তিকেন্দ্রিকতার নিদর্শন। সেটা সমষ্টিকেন্দ্রিক হওয়া উচিত। কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শই তাই। শুধু তাই নয়, যাঁর সম্পর্কে এটা হচ্ছে তিনি যেন এই প্রচারে গা ভাসিয়ে না দেন, সেই ‘ক্যাপ্টেন’—কে সতর্কও করেছেন প্রবীণ এই সিপিএম নেতা।
What's Your Reaction?