উচ্ছেদ নয়, বিকল্প ভাবনা, হকারদের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিক নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
উচ্ছেদ হওয়ার হকারদের পাশে দাঁড়িয়েও বড় ঘোষণা মমতার। আপাতত এক মাস বন্ধ উচ্ছেদ অভিযান। তবে যাদের ইতিমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ঠিকানা নিয়ে সার্ভে করবে পুলিশ।
1.
হকার নিয়ে কড়া মুখ্যমন্ত্রী। তবে বৈঠক শেষে বুঝিয়ে দিলেন তিনি শুধুমাত্র প্রশাসনিক প্রধান নয়, রাজ্যবাসীর অভিভাবকও বটে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হকার উচ্ছেদ হয়েছে। রুটিরুজি হারিয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, আপাতত এক মাস বন্ধ উচ্ছেদ অভিযান। তবে যাদের ইতিমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ঠিকানা নিয়ে সার্ভে করবে পুলিশ। তাঁরা যদি রাজ্যের লোক হয়, সত্যি যদি গরিব হয়, তাহলে তাঁদের জন্য অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
সরকারি জমি দখল করে হকার বসেছে। বৃহস্পতিবার ফের একবার তা নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠক থেকেই হকারদের জন্য বিকল্প ভাবনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার নির্দেশ, ফুটপাথের একদিকে হকার বসতে পারে। কোন দিকে বা কোথায় হকার বসবে, তা সার্ভে করে ঠিক করে নিতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সার্ভে করতে হবে। এই জন্য একটা কমিটিও গড়ে দিয়েছেন। যেখানে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ এবং মলয় মজুমদার (জঞ্জাল বিভাগের মেয়র পারিষদ)। পুলিশ থেকে কমিশনারদেরও এই কমিটিতে রাখা হবে। তাঁদের সার্ভের পাশাপাশি সমান্তরাল সার্ভে করবে হকার কমিটিগুলিও। তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সার্ভে হবে মূলত হাতিবাগান, কলকাতা কর্পোরেশনের সামনে, গ্র্যান্ড হোটেল চত্বর, নিউ মার্কেট-সহ মোট পাঁচটি এলাকায়।
গ্র্যান্ড চত্বরে হকার বসা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, “গ্র্যান্ড হোটেলে বহু ভিআইপি, তারকারা আসেন। সেনসিটিভ জায়গা। সিকিউরিটির ব্যাপার আছে। তার পর ওখানে কিছু একটা ঘটিয়ে দিয়ে এনআইএ দিয়ে দেবে। এটা হতে দেব না।” এর পর মমতা জানান, এক-একজন হকারকে একটাই ডালা দেওয়া হবে। স্টলের পাশে গোডাউন করার অধিকার নেই। বহিরাগতদের জায়গা দেওয়া হবে না। হকারদের নামে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। হকারদের পরিচয়পত্র তৈরি করতে হবে।
What's Your Reaction?