সংসদে সেলফি মুডে জুন-রচনা-সায়নীরা, ক্যান্টিনে কল্যাণের সঙ্গে মজলেন কফি আড্ডাতেও
পার্লামেন্টে প্রথমবার পা রাখার অভিজ্ঞতা কেমন? জানালেন জুন-সায়নীরা।
1.
সংসদের সবুজ কার্পেটে ফ্রেমবন্দি তৃণমূলের তারকা সাংসদদের রঙিন মুহূর্ত। শপথগ্রহণের আগে সোমবারই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। চব্বিশের লোকসভা ভোটে জিতে প্রথমবার সংসদে পা রাখলেন জুন মালিয়া, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষরা। সোমবার একদিকে যখন সংসদ চত্বর ইন্ডিয়া জোটের বিক্ষোভে উত্তাল, তখন ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল তৃণমূলের প্রমিলা বাহিনীর তারকা সাংসদদের।
সোমবার লোকসভায় প্রথমবার পা রাখলেন জুন, রচনা, সায়নীরা। আর পয়লা দিনেই ফটোসেশনে মেতে উঠতে দেখা গেল তাঁদের। কখনও সেলফিতে আড্ডার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ জুন। আবার কখনও বা ক্যামেরাম্যান অবতারে ধরা দিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে জুন-রচনাদের ছবি তুলে দিতে দেখা গেল শ্রীরামপুরের সাংসদকে।থমদিন সংসদে পা রাখার অভিজ্ঞতা কেমন? সায়নীর কথায়, “দারুণ! আমাদের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি বাঘিনী। আর তিনিই মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিয়েছেন আমাদের। এটা ভীষণ বড় পাওনা।” জুন মালিয়া বলছেন, “প্রথম দিন। তাই আমরা সবাই খুব এক্সাইটেড। আশা করি, আগামী ৫ বছর এমনই সুন্দর হবে।” এর পরই সংবিধান হাতে সায়নীর সংযোজন, “প্রথম দিন থেকেই আমরা ‘টোন’ সেট করতে চাইছি। কোনও রকম স্বৈরাচারীতা চলবে না।”
শাড়িতেই সেজেছিলেন মমতার নারী ব্রিগেড। জুন মালিয়ার পরনে ছিল আইভরি রঙের শাড়ি। সঙ্গে ম্যাচিং করে লাল ব্লাউজ। চোখে ছোট্ট টিপ। হালকা লিপস্টিক। গলায় মুক্তোর মালা। ছিমছাম সাজেই সেলফিবন্দি হলেন মেদিনীপুরের তারকা সাংসদ। অন্যদিকে যাদবপুরের সাংসদ হিসেবে শপথগ্রহণের আগে নিলাম্বরী সাজে সংসদে ধরা দিলেন সায়নী ঘোষ। প্রথমবার লোকসভা ভোটের প্রার্থী হয়েই বাজিমাত করেছেন তিনি। যাদবপুরের মতো সম্মানের আসনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে নিজের ঝাঁজ বুঝিয়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার সংসদে দাঁড়িয়ে সাংসদ হিসেবে নতুন ইনিংস শুরু তরবেন ‘বাজিগর’ সায়নী। দিদি নম্বর ওয়ান রচনাকে দেখা গেল নিজস্ব বুটিকের সবুজ রঙের শাড়ি পরনে। তবে তৃণমূলের প্রমিলা বাহিনির মধ্যে কমলা-গোলাপি কম্বিনেশনের পিওর সিল্ক শাড়িতে নজর কাড়লেন মহুয়া মৈত্রও।
চার নতুন মহিলা সাংসদ জুন মালিয়া, শর্মিলা সরকার, মিতালি বাগ ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ করাতে যান কল্যাণ। শর্মিলা সরকার, মিতালি বাগ ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কল্যাণ যান মধ্যাহ্নভোজ করাতে। তাঁদের মধ্যে আবার এক সাংসদ দলের অগ্রজর কাছে নৈশভোজের দাবিও জানিয়েছিলেন। সেটা শুনেই তিনি বলেন, “আগে লাঞ্চ তো করো, তার পর না হয় একদিন ডিনার হবে।” তবে শ্রীরামপুরের সাংসদের দাবি, “মধ্যাহ্নভোজ কোথায় কফি খেয়েছি তো!”
What's Your Reaction?