South24pgs | মহালয়ার আগে খোঁজ পড়ছে রেডিওর, নস্টালজিয়ায় ভাসছে আম বাঙালি | U Bangla TV
South24pgs | মহালয়ার আগে খোঁজ পড়ছে রেডিওর, নস্টালজিয়ায় ভাসছে আম বাঙালি | U Bangla TV
দক্ষিন ২৪ পরগণা:আসলে বাজল তোমার আলোর বেনু… কারোর কারোর কাছে আজও ফিরিয়ে দেয় সেই ফেলে আসার দিনের স্মৃতি, আর সেটাই রেডিওর হাত ধরে।রাত পোহালেই মহালয়া। আশ্বিনের শারদ প্রাতে…। আর প্রতি বছরের মতো এবছরও বাড়ির মাঝবয়সী মানুষটিও ধুলো ঝাড়ছেন পুরানো রেডিওর। একবার পরখ করে দেখে নেওয়া, আদৌ এতে মহালয়া শোনা যাবে তো? স্মার্টফোনের যুগেও হারিয়ে যেতে বসা রেডিওর নস্টালজিয়ায় ভাসছে আম বাঙালি।অনেকের বাড়িতে এখনও আছে সেই রেডিও। অনেকে আবার ভাঙাচোরা জিনিসপত্রের সঙ্গে কবেই বাড়ি থেকে বিদায় করে দিয়েছেন একসময়ের সাধের রেডিওকে। তবে মহালয়ার ঠিক আগের দিন খোঁজ পড়ে সেই রেডিওর। অনেকের বাড়ির রেডিওই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে অনেকদিন। আর সারানোর তাগিদ অনুভব করেননি কেউই। এভাবেই হয়তো একদিন হারিয়ে যাবে বঙ্গজীবনের হারিয়ে যেতে বসা এই অঙ্গ।সেই আলো না ফোটা ভোরবেলায় পাশের বাড়ি থেকে ভেসে আসত মহিষাসুরমর্দিনীর সুর। তার মানে পুজো এসে গেল। ঘুম চোখে এবার বাড়ির রেডিওটা অন করার পালা। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেই শনিবার দেখা যায় রেডিও, টিভির দোকানে ভিড় জমতে শুরু করেছে। অনেকেই চাইছেন তাড়াহুড়ো করে রেডিওটা সারাই করে নিতে। কেউ কেউ আবার কম পয়সায় রেডিও কিনতে চাইছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন রেডিও ছাড়াই দোকানের সামনে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষেরা। এক রেডিও ছাড়াই দোকানের মালিক তিনি বলেন, আধুনিক যুগে দাড়িয়ে রেডিও চাহিদা কমলেও মহালয়ার সময় বাড়িতে পড়ে থাকা রেডিওতে মহালয়া শুনতে বেশি ভালোবাসে গ্রাম বাংলার মানুষেরা। মহালয়ের আগে রেডিও দোকানগুলিতে সাধারণ মানুষেরা জমায়। আধুনিক যুগে রেডিও চাহিদা কমলে ও গ্রাম বাংলাতে এখনো রেডিও চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় এক এলাকাবাসী তিনি বলেন, যতই স্মার্ট ফোন আসুক কিন্তু রেডিওতে মহালয়া সোনা যেনো বাঙালি যেন নস্টালজিয়া। মহালয়ার সঙ্গে রেডিও যে অধঃপতভাবে জড়িয়ে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। মহালয়ের দিনে ভোরবেলাতে রেডিওতে মহিষাসুরমর্দিনী বাঙালির নস্টালজিয়াতে রয়েছে।
What's Your Reaction?