Purbo Bardhaoman : ওরাই এখন পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ : U Bangla TV
Purbo Bardhaoman : ওরাই এখন পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ : U Bangla TV
ওরাই এখন পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ। পূর্ব বর্ধমান জেলার জঙ্গলমহল আউশগ্রামের আদুরিয়া জঙ্গলে ময়ূরের সংখ্যা বেড়েছে। তাই পর্যটকদের আনাগোনাও বাড়ছে। ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর দেখতে ভিড় করছেন দূরদূরান্তের পযটকরা। তাদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ আউশগ্রাম জঙ্গলের ময়ূর। আর এই ময়ূরের দলকে আগলে রেখেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরাই। কয়েকবছর আগে কাঁকসা জঙ্গলমহলের দেউল এলাকায় কয়েকটি ময়ূর ছেড়েছিল বনবিভাগ। তখনও পর্যন্ত আউশগ্রাম জঙ্গলে ময়ূরের দেখা মিলত না। জানা গিয়েছে কাঁকসা থেকেই উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে ময়ূরের বংশবৃদ্ধি হয়েছে। এখন আউশগ্রামের জঙ্গলেও ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে আদুরিয়া জঙ্গল এলাকায় বর্তমানে তিনশোর কাছাকাছি ময়ূর রয়েছে। দুইবছর আগে যার সংখ্যা ছিল ৪০- ৪৫ টির কাছাকাছি। কিন্তু অদ্ভূতভাবে এই সংখ্যা বেড়েছে। আউশগ্রামের হেদোগরিয়া গ্রামের জঙ্গলে এখন হামেশাই দেখা মিলছে ময়ূরের। এছাড়াও প্রেমগঞ্জ, রাঙাখুলা, আদুরিয়া প্রভৃতি গ্রামের পাশেও বর্তমানে ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। এক একটি ঝাঁকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টি ময়ূর দেখা যাচ্ছে। জঙ্গল ছেড়ে মাঝেমধ্যে পাশের মাঠগুলিতে ঘোরাঘুরি করছে ময়ূরের দল। দলে রয়েছে বাচ্ছারাও। আর অনেকেই ময়ূরের দল দেখার জন্য এখানে ছুটে আসছেন। হেদোগরিয়া গ্রামের বাসিন্দা তুহিন কোনার জানান গ্রামবাসীরা ময়ূরগুলি রক্ষায় সচেতন। বাইরের লোক এলে তাদের সম্পর্কে আগে ভাল করে খোঁজ খবর নেওয়া হয় চোরাশিকারি কিনা। এছাড়া বনবিভাগ থেকেও সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হয়। পাশাপাশি তুহিনবাবু জানান এই এলাকায় রাত্রিবাস করার ব্যবস্থা পর্যটকদের জন্য নেই। তাই এলাকায় একটি ইকো ট্যুরিজম পার্ক ও কটেজের ব্যবস্থা করলে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে এলাকার আর্থিক উন্নতিও হবে। বনআধিকারিকরা জানান ময়ূর রক্ষায় সবসময় খেয়াল রাখা হয় যাতে জঙ্গলে আগুন না#bardhaman #bardhamannews #banglanews #newstoday @ubanglatvofficial
What's Your Reaction?