Nadia : জিআই ট্যাগ পেতে চলেছে বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি : U Bangla TV
Nadia : জিআই ট্যাগ পেতে চলেছে বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি : U Bangla TV
এবার জিআই ট্যাগ পেতে চলেছে বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি। সংস্থাপত্র পাওয়া শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা। এতে নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের উৎসাহ আরো বাড়বে বলেই মত শিল্প মহলে। বাংলার লক্ষ লক্ষ তাঁত শিল্পী এই টাঙ্গাইল শাড়ির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এবং তাদের সংসার চালানোর একমাত্র উপার্জন পথ এটাই। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বাংলায় টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি করা হলেও মিল ছিল না কোন সরকারি স্বীকৃতি। অবশেষে তাঁত শিল্পর সঙ্গে যুক্ত থাকা তাঁতি এবং বিভিন্ন মহাজন ও ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের ফলে কেন্দ্র সরকারের তরফে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে বাংলার টাঙ্গাইল শাড়িকে। বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি ছাড়াও কালুনুনিয়া চাল, করিয়াল শাড়ি, মধু এবং গরদের শাড়িকেও সরকারি স্বীকৃতি এই টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তি মূলত বাংলাদেশ থেকেই। বাংলাদেশের একটি জায়গার নাম ছিল টাঙ্গাইল । এখানে প্রায়ই প্রত্যেককে তাঁত শিল্পর সঙ্গে যুক্ত ছিল। আর সেখান থেকে যে শাড়ি তৈরি হতো সেই শাড়ির নামকরণ হয় টাঙ্গাইল শাড়ি হিসেবে। পরবর্তীকালে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল এলাকার যে সমস্ত তাঁতিরা পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে এবং তাঁত বুনতে শুরু করে সেই সমস্ত তাঁতিদের হাত ধরেই টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে তৈরি হতে শুরু হয়।।দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে টাঙ্গাইল শাড়ির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁত শিল্পী শিবনাথ বসাক। সরকারি স্বীকৃতি পাওয়ার খবর শুনে তিনি রীতিমতো আনন্দিত। তিনি জানাচ্ছেন, প্রায়ই চল্লিশ বছর ধরে শাড়ি বুনছেন তিনি। বেশ কয়েকটা প্রজন্ম কাটিয়ে দিয়েছেন এই তাঁত শিল্পের সঙ্গে। তাদের একটি লড়াই ছিল যাতে টাঙ্গাইল শাড়ি একটি সরকারি স্বীকৃতি পায়। । অবশেষে এই সরকারি স্বীকৃতি পেয়ে তারা সকলেই খুশি। তিনি জানাচ্ছেন এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর অনেকটাই উৎসাহ বাড়বে তাঁত শিল্পীদের। বিভিন্ন সময়ে উপার্জন কমে যাওয়ার কারণে এই শিল্প থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন নতুন প্রজন্ম। সেখানে দাঁড়িয়ে সরকারের এই নতুন চিন্তা ভাবনা শিল্পের প্রতি উৎসাহ জোগাবে। পাশাপাশি তিনি সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।অন্যদিকে আরেক তাঁত শিল্পী আনন্দ ঘোষ প্রতিদিন দেড়শ কিলোমিটার যাতায়াত করে শাড়ি তৈরি করতে আসেন। তিনিও প্রায় ১০ বছর ধরে টাঙ্গাইল শাড়ির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সরকারের এই উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তবে বর্তমানে একটি শাড়ি বুনতে প্রায় সাত থেকে আট দিন সময় লেগে যায়। যার দরুন তাদের ২০০০ টাকা করে পারিশ্রমিক আয় হয়। গড়ে প্রতিদিন আড়াইশো থেকে ৩০০ টাকা করে তাদের উপার্জন হয়। সেখানে খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে সংসার চলে। তবে এই সরকারি স্বীকৃতি পাওয়াতে অনেকটাই খুশি হয়েছেন তারা। তারা চান সরকার আরো বেশি করে উদ্যোগ নেয় যাতে তাঁত শিল্পের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের মানুষ যুক্ত হতে পারে ।অন্যদিকে জিআই স্বীকৃতি পাওয়াতে যথেষ্টই খুশি পদ্মশ্রী প্রাপ্ত তাঁত শিল্পী বীরেন বসাক। তিনি বলেন এটি তাদের দীর্ঘদিনের লড়াই ছিল। অন্যদিকে কিছু সমস্যার কথাও তিনি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, তারা বাংলায় যে সমস্ত টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি করেন সেই শাড়ি মূলত সম্পূর্ণ সুতি দিয়েই তৈরি হয়। যার কারণে শাড়ি তৈরিতে যে খরচ সেই খরচটা অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্য থেকে মেশিনে তৈরি যে সমস্ত শাড়ি বাংলায় আসছে তার গুণগত মান যেমন কম তেমনি মূল্য অনেকটাই কম। সেই কারণে বাংলার তৈরি টাঙ্গাইল শাড়ি চাহিদা অনেকটাই কমেছে বাজারে। এই বিষয়টা সরকারকে নজর রাখতে হবে এবং যাতে বাইরের যে সমস্ত শাড়ি এ রাজ্যে প্রবেশ করছে সেটা আটকানো যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। #nadia #nadianews #banglanews #newstoday @ubanglatvofficial
What's Your Reaction?