Bankura : সামনে পৌষ সংক্রান্তি শোনা যাচ্ছে ঢেকের ঢুকুম, ঢেকের ঢুকুম আওয়াজ : U Bangla TV
Bankura : সামনে পৌষ সংক্রান্তি শোনা যাচ্ছে ঢেকের ঢুকুম, ঢেকের ঢুকুম আওয়াজ : U Bangla TV
গ্রামের গলির প্রান্তে এসে দাঁড়াতেই দুপাশ থেকে আওয়াজ শোনা যাচ্ছে "ঢেকের ঢুকুম, ঢেকের ঢুকুম" ভালো করে অনুভব করলে বোঝা যাবে মাটিটাও যেন কাঁপছে, সেই সঙ্গে মহিলাদের কলরব, যেন বৈঠকি আড্ডা। বাঁকুড়া ওন্দা থানার কোটালপুরের ছবি। পাশাপাশি দুইটি বাড়িতে রয়েছে ঢেঁকি, তারই আওয়াজ "ঢেকের ঢুকুম, ঢেকের ঢুকুম"। সামনে পৌষ সংক্রান্তি। রাঢ় বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা পরব। যদিও বিদ্যুতিক যান্ত্রিক মাধ্যমে, আটার মতো চাল গুঁড়িয়ে তৈরি হয় পিঠে। তাই সেই দৌড়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে ঢেঁকি। তবুও ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করে তৈরি পিঠে খাওয়ার স্বাদই আলাদা। তাই গ্রামের মহিলাদের চাল নিয়ে ছুটে আসতে হয় এই দুই বাড়িতে যেখানে রয়েছে ঢেঁকি। বাড়ির গৃহকর্তী মামনি লোহার জানান, ঢেঁকিতে গুঁড়ো করা চালের পিঠে, যেমন নরম তুলতুলে তেমনি সুস্বাদুও হয়। তাই এখনও আমাদের বাড়ি সহ গ্রামে বেশ কয়েকটি ঢেঁকি রয়েছে। যেখানে এই সময় মানুষ চাল কোটার জন্য ভিড় করে। এই সময় গ্রামের প্রায় সমস্ত মানুষই তাদের বাড়িতে আসেন, বিষয়টি তাদেরও ভালো লাগে।বাড়ির মেয়ে প্রিয়াঙ্কা লোহার জানায়, গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ির মানুষ এই সময় তাদের বাড়িতে আসেন। চালগুড়ো করতে । সারাদিন ধরে তারা তাদের নাওয়া খাওয়া ভুলে, তাদের চাল গুড়ো করতে থাকে, ও গল্প করতে থাকে। এই সময়ে খুব ভালো লাগে তাদের।যদিও বাঁকুড়া উন্নয়নী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হাত ধরে, বাজারে এসেছে ইলেকট্রিক ঢেঁকি। তবুও ওন্দার কোটালপুর গ্রামের, কয়েকটি বাড়িতে সংসারের খুঁটিনাটি গল্প করতে করতে মহিলারা ঢেঁকিতে পাহার দিতে থাকেন। সঙ্গে তাল মেলান বাড়ির পুরুষ সদস্যরাও । তবে হারিয়ে গেছে ঢেঁকি পাহার দেওয়ার গান।। #bankura #bankuranews #banglanews #newstoday @ubanglatvofficial
What's Your Reaction?