ভাঙ্গর নিয়ে কি বললেন সুজন চক্রবর্তী এবং মোঃ সেলিম
ভাঙ্গর নিয়ে কি বললেন সুজন চক্রবর্তী এবং মোঃ সেলিম
২০২৩ ভাঙড় ২ ব্লকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়ে কি ঘটেছিল তা রাজ্যের মানুষ দেখেছে। আইএসএফ এবং সিপিআই(এম) প্রার্থীরা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে না পারে, তার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে পরিচিত দুষ্কৃতিদের জড়ো ক'রে, পুলিশ ও সাধারণ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয় ও গুলি চালানো হয়। মনোনয়ন পর্বের শেষ সময়ে মানুষের প্রতিরোধে দুষ্কৃতিরা পালাতে বাধ্য হয়। সেই সময়ে তৃণমুল দুষ্কৃতিদের আক্রমণে ৩ জনের মৃত্যু হয়।মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে পুলিশ ও সাধারণ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মানুষের দাবির সামনে নত হয়ে প্রশাসন তখনকার মতো মনোনয়ন পত্র জমা নিলেও, পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন তা বাতিল করে দেয়।নির্বাচনের প্রচারের সময়ে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৩৩৫জন বিরোধী কর্মী সমর্থকেকে গ্রেপ্তার করে, মিথ্যা ও জামিন অযোগ্য ধারায়। গ্রামের পর গ্রাম বিরোধী কর্মী সমর্থকদের গ্রামছাড়া করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয় এবং সেই কারণে প্রায় হাজার খানেক নিরপরাধ মানুষকে এই বর্ষার সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধানক্ষেত সহ বিভিন্ন বিপদজনক জায়গায় লুকিয়ে থাকতে হয়। অন্যদিকে পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শাসক দল তৃণমূলের সশস্ত্র দুষ্কৃতিরা বাড়ি বাড়ি হামলা চালায়।নির্বাচনের দিন জেলা পরিষদের ৮১ নং আসনে, যেখানে তৃণমূলী বাহুবলী আরাবুল পুত্র প্রার্থী, সেখানে পুলিশের সহযোগিতায় ৭১টি বুথের মধ্যে ৬৪টি বুথ দখল ক'রে ব্যাপক ছাপ্পা ভোট দেয়। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বিকাল ৫.৩০মিনিট নাগাদ ভাঙড় ২ ব্লকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠায় নির্বাচন কমিশন।জেলা পরিষদের ৮২ ও ৮৩ নং আসনে গণপ্রতিরোধের মুখে তৃণমূলের সশস্ত্র দুষ্কৃবাহিনী পিছু হঠে এবং বেশ কিছু বুথে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেন। যে সব বুথে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন তার ৯০% আসনেই সিপিআই(এম), আইএসএফ ও জমি রক্ষা কমিটির প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছেন। গণনা কেন্দ্রে জেলা পরিষদের ৮২নং আসনে আইএসএফ প্রার্থী জাহানারা বিবি গণনার শেষে প্রায় ১৭০০ ভোটে জয়ী হন। রাত ৯টায় গণনা শেষ হলেও রাত ১২টা পর্যন্ত বিডিও ভাঙড় ২. ফল ঘোষণা করেননি ইচ্ছাকৃতভাবেই অসৎ উদ্দেশ্যে।আরাবুল ইসলাম পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী ছিলেন, অথচ অন্য স্তরের আসনগুলির গণনার সময়েও অবৈধভাবে গণনা কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে উলটো ফল ঘোষণা করার জন্য হুমকি দিতে থাকে এবং বিডিও তার কথা শুনে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকেই জয়ী ঘোষণা করেন।এর প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে প্রতিবাদে সামিল হয়। রাত ১টা নাগাদ পুলিশ নিরস্ত্র সমবত জনতার ওপর গুলি চালায়। এর ফলে রেজাউল গাজী, হাসান মোল্লা ও রাজু মোল্লা এই ৩জন নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়।গতকাল মধ্যরাত থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনী থানাতল্লাশীর নামে বাড়ী বাড়ী ঢুকে বর্বরোচিত অত্যাচার করছে, বাড়ী-আসবাব ভাঙচুর করছে এবং সাধারণ নিরপরাধ মানুষদের গ্রেপ্তার করছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে সিপিআই(এম) এবং এর প্রতিবাদে অন্যান্য তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী দলগুলির সাথে আলোচনা করে দ্রুত প্রতিবাদ কর্মসূচী নেওয়া হবে। সিপিআইএম এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী #breakingnews #newstoday #banglanews #cpimnews #panchayatelection #westbengal @ubanglatvofficial
What's Your Reaction?