Purbo Bardhaman : বাংলার প্রথম নবরত্ন মন্দির
১৭০২ সালে মহারাজা কীর্তিচাঁদ দ্বারা সর্বমঙ্গলা মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল, যেটি বর্ধমানের ডিএন সরকার রোডে অবস্থিত। মাতা সর্বমঙ্গলার মূর্তিটি প্রায় ১০০০ বছর পুরনো। এটি অবিভক্ত বাংলার প্রথম নবরত্ন মন্দির।
সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। ১লা বৈশাখ উপলক্ষে শনিবার সকাল পাঁচটা থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছিল মন্দিরের প্রবেশ দ্বার। আর সকাল থেকেই ভক্তরা দেবীর কাছে সারা বছর যাতে মায়ের কৃপায় ভাল কাটে তার জন্য প্রার্থনা জানাতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ভিড় করতে শুরু করেন সর্বমঙ্গলা মন্দির চত্বরে। এরই পাশপাশি বছরের প্রথম দিনে ব্যবসার নতুন খাতা পুজো দিতে মন্দিরে এসেছিলেন প্রচুর ব্যবসায়ী।
পয়লা বৈশাখের দিন প্রতিবছরই হাজার হাজার মানুষ মায়ের পুজো দিতে মন্দিরে আসেন। গত দুবছর করোনার কারণে বিধিনিষেধ থাকায় মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এবছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় ফের নতুন করে মন্দির চত্বরে ভিড় উপচে পড়েছে। এবছর প্রায় ৪০হাজার মানুষ নববর্ষের পুজো দিতে মন্দিরে এসেছেন। প্রায় ৮০০ কুপন বিতরণ করা হয়েছিল মায়ের অন্নভোগ সংগ্রহের জন্য। মোট প্রায় ১৩০০ভক্ত দের মধ্যে অন্ন ভোগ বিতরণ করা হয়েছে।
পাশাপাশি কমিটির পক্ষ থেকে জানা গেছে, নববর্ষ উপলক্ষে মন্দির চত্বরের ভিতরে ও বাইরে ব্যাপক পুলিশি বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এছাড়াও মন্দিরের ভিড় সামলাতে ও আগত ভক্তদের সুবিধা অসুবিধা নজরে রাখতে এদিন সকাল থেকেই হাজির ছিল ভারত স্কাউটস্ এন্ড গাইডস্ এর স্বেচ্ছাসেবক, রেডক্রশ বর্ধমান শাখা, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, সেবিকাগণ ও বর্ধমান থানার পুলিশ। এছাড়াও মন্দিরের চারদিকে একাধিক সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল নিরাপত্তার স্বার্থে। #youtube #purbobardhman #newsupdate @ubanglatvofficial
What's Your Reaction?